খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হযরত আলী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এই নিয়োগের মাধ্যমে কুয়েটে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।
কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের শর্তাবলী
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের সঙ্গে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে,
- তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ও ভাতা পাবেন।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তিনি অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
- তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সব সময় ক্যাম্পাসে থাকবেন।
- রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এই নিয়োগ বাতিল করতে পারেন।
এই শর্তগুলো মেনে অধ্যাপক মো. হযরত আলী কুয়েটের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তিনি পুরকৌশল বিভাগে তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। ওই দিন সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এরপর সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে কুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। তাঁরা কুয়েটের তৎকালীন উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৬ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও সহ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই ঘটনার পর কুয়েটে প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে মো. হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক মো. হযরত আলীর নেতৃত্বে কুয়েটে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলবে। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। কুয়েটের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবেন।
শিক্ষা নিউজে শিক্ষা সম্পর্কিত সঠিক তথ্যের আপডেট সবার আগে জানতে শিক্ষা নিউজের সোসাল হ্যান্ডেলগুলো অনুসরণ করুন।
Discover more from Shikkha News | শিক্ষা নিউজ
Subscribe to get the latest posts sent to your email.