গত রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি জারি করা হয়েছে। এই চিঠিতে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এবং ট্রান্সফার বা রি-এমপিও হওয়া শিক্ষকদের জন্য ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) সিস্টেমে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশনার মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষকদের বকেয়া বেতন দ্রুত প্রদান নিশ্চিত করা। এই খবর শিক্ষক সমাজে একটি আশার আলো জাগিয়েছে, কারণ অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে বেতনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
ইএফটি তথ্য হালনাগাদ নতুন নির্দেশনা
চিঠিতে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষক-কর্মচারীর নতুন এমপিও আবেদন অনুমোদন হয়েছে এবং জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের বেতনের জন্য ইনডেক্স পেয়েছেন, কিন্তু এখনো ইএফটির মাধ্যমে বেতন পাননি, তাদের জন্য এই নির্দেশনা। এ ছাড়া, যেসব শিক্ষক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নতুনভাবে এমপিওভুক্ত হয়েছেন বা রি-এমপিও করেছেন, তাদেরও তথ্য জমা দিতে হবে। তবে যারা ইতোমধ্যে তথ্য জমা দিয়েছেন, তাদের আর নতুন করে কিছু পাঠাতে হবে না।
প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনলাইনে ইএফটি মডিউলে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানোর। এই তথ্য ১৬ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিতে হবে। তথ্য পাঠানোর পর মডিউল থেকে ডাউনলোড করা হার্ডকপি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। স্কুলের ক্ষেত্রে এগুলো উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এবং কলেজের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে জমা দিতে হবে।
এরপর উপজেলা-থানা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং আঞ্চলিক পরিচালকরা এই তথ্য ও কাগজপত্র যাচাই করে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাবেন। তারা এই কাগজপত্র নিজেদের দপ্তরেও সংরক্ষণ করবেন।
এই নির্দেশনা শিক্ষকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক শিক্ষক এমপিও অনুমোদন পেয়েও বেতন পাচ্ছিলেন না, যা তাদের জীবনে আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছিল। এই নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে সরকার তাদের বেতন প্রদানের প্রক্রিয়া দ্রুত করতে চায়। তবে এই প্রক্রিয়া সফল করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঠিক সময়ে তথ্য পাঠানোর দায়িত্ব পালন করতে হবে।
অনলাইনে তথ্য জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা বা সফটওয়্যার সম্পর্কে অপর্যাপ্ত জ্ঞান এই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন ২০২৫
এই নির্দেশনার খবরে শিক্ষকরা আশাবাদী হয়েছেন। তারা মনে করছেন, সময়মতো তথ্য জমা দিলে বকেয়া বেতন দ্রুত পাওয়া যাবে। একজন শিক্ষকের কাছে বেতন শুধু আর্থিক বিষয় নয়, এটি তাদের পরিবারের স্থিতিশীলতা ও মানসিক শান্তিরও প্রশ্ন। তাই এই প্রক্রিয়া সফল হলে শিক্ষকদের মনোবল আরও বাড়বে।
সরকারের এই উদ্যোগ শিক্ষকদের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে এটি সফল করতে সব পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষা কর্মকর্তা এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সময়মতো দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রিয় বন্ধুরা শিক্ষা, এমপিও ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য সবার আগে জানতে শিক্ষা নিউজকে ফলো করুন এছাড়া শিক্ষা নিউজ এর ইউটিউব চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
শিক্ষা নিউজে শিক্ষা সম্পর্কিত সঠিক তথ্যের আপডেট সবার আগে জানতে শিক্ষা নিউজের সোসাল হ্যান্ডেলগুলো অনুসরণ করুন।
Discover more from Shikkha News | শিক্ষা নিউজ
Subscribe to get the latest posts sent to your email.