সূচনা
মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। যারা লেখাপড়া শিখতে আসে, তাদের ছাত্র বলা হয়। আর ছাত্ররা যেখানে জ্ঞান অর্জন করে, সেই জায়গাটির নাম বিদ্যালয়। আমি যে বিদ্যালয়ে পড়ি, তার নাম মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। কিশোরগঞ্জ জেলার এই বিদ্যালয়টি একটি নামকরা ও আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।
পরিবেশ
আমাদের বিদ্যালয়টি গ্রামের একজন দানশীল ব্যক্তির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে এটি সরকারি করা হয়। বিদ্যালয়ের চারপাশ খোলামেলা আর সবুজে ঘেরা। দক্ষিণ দিকে একটি ছোট খাল বয়ে গেছে, যা পরিবেশকে আরও সুন্দর করে। বিদ্যালয়ের সামনে বিশাল একটি মাঠ রয়েছে। আমরা টিফিনের সময় আর বিকেলে সেখানে খেলাধুলা করি। বিদ্যালয়ের একপাশে নারকেল ও সুপারি গাছের বাগান আছে, যা দেখতে খুব মনোরম। প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ের সামনে রঙিন ফুলের বাগান পরিবেশে আলাদা সৌন্দর্য যোগ করেছে।
বিদ্যালয় ভবনের বর্ণনা
আমাদের বিদ্যালয়ের ভবনটি দুই তলা এবং ‘এল’ আকৃতির। এটি পাকা ও মজবুত। নিচতলায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের কক্ষ রয়েছে। দোতলায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাসরুম। দোতলার পূর্ব দিকে একটি লাইব্রেরি আছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের বই পাওয়া যায়। ভবনটি মূলত উত্তরমুখী, যার ফলে ক্লাসরুমগুলোতে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস আসে।
ছাত্র ও শিক্ষক সংখ্যা
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ মোট নয়জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাতশো। প্রতিটি শ্রেণিতে একাধিক শাখা রয়েছে। আমাদের শিক্ষকরা অত্যন্ত দক্ষ, পরিশ্রমী এবং উচ্চশিক্ষিত। তারা আমাদের পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো আচরণ ও নৈতিকতা শেখান। আমরা তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রাখি। আমাদের প্রধান শিক্ষক অত্যন্ত দক্ষ প্রশাসক। তাঁর নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের খ্যাতি দিন দিন বাড়ছে।
সহপাঠ কার্যক্রম
আমাদের বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সহপাঠ কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়া হয়। শিক্ষকরা আমাদের চরিত্র গঠন ও ভালো নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে সবসময় চেষ্টা করেন। এখানে কবিতা আবৃত্তি, গান, নাচ, বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জাতীয় দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। এছাড়া, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাদের উৎসাহ বাড়ায়।
বিদ্যালয়ের ফলাফল
আমাদের বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল সবসময়ই ভালো হয়। প্রতি বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী বৃত্তি পায়। এছাড়া, জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুরস্কার জিতে আনে, যা আমাদের গর্বের বিষয়।
উপসংহার
লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের দিক থেকে আমাদের বিদ্যালয় দেশের অন্যতম আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা আমাদের বিদ্যালয়কে খুব ভালোবাসি এবং এর আরও উন্নতি কামনা করি। এই বিদ্যালয় আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, যা আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দিচ্ছে।
শিক্ষা নিউজে শিক্ষা সম্পর্কিত সঠিক তথ্যের আপডেট সবার আগে জানতে শিক্ষা নিউজের সোসাল হ্যান্ডেলগুলো অনুসরণ করুন।
Discover more from Shikkha News | শিক্ষা নিউজ
Subscribe to get the latest posts sent to your email.